শিরোনাম
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:০৯, ২২ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৯:১৩, ২২ মে ২০২৫
এক কলাগাছে প্রায় পঞ্চাশটি ‘থোর’ দেখতে মানুষ প্রতিদিন এভাবে ভিড় জমায়। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এদিকে, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের কেউ কেউ বিশেষ ফায়দালাভের উদ্যোগ নিয়েছেন। গাছটির আশপাশে অনেকগুলো লাল নিশান টানিয়েছেন তারা।
কলাগাছটির অবস্থান উপজেলার উজানগাঁও গ্রামের কাশেম মিয়ার জমিতে। এই প্রতিবেদক বৃহস্পতিবার (২২ মে) কলাগাছটি দেখতে যান। এ সময় এক ব্যতিক্রম দৃশ্য চোখে পড়ে। সাধারণত দেখা যায়, একটি কলাগাছে একটিই ‘থোর’ (মোচা) হয়। সেই ‘থোর’ আস্তে আস্তে বেড়ে ‘কলা’ হয়। কিন্ত এই গাছে প্রায় পঞ্চাশটি ‘থোর’ হয়েছে। প্রতিটি ‘থোর’ থেকেই গজাচ্ছে ছোট ছোট ‘কলা’। যদিও এই ‘কলা’ বড় হয়ে পেঁকে খাওয়ার উপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তবু বিভিন্ন বয়সের মানুষজন বিস্ময়মনে গাছটির দিকে তাকিয়ে আছেন। আগত লোকজনের মাঝে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সকলেই এসেছেন কাঁদা-পানি ভেঙ্গে।
উজানগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুছ ছালাম বলেন, ‘এ রকম ‘থোর’ হতে আমি আগে দেখি নাই।’
স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ’৮০ বছর বয়স অইছে, এই রকম আমি আর দেখছি না।’
কাশেম মিয়া বলেন, ‘আমি গাছ লাগাইছি কলার জন্য। এই রকম অইবো ভাবছি না। আল্লাহর ইচ্ছায় অইছে। প্রত্যেকদিন শত শত লোক আয় গাছ দেখতে। আশপাশের ফসল নষ্ট হয়। ক্ষতির মুখে পরছি। এই জন্য গাছের সাইডে দিয়া জালের বেড়া দিছি। লাল নিশান অন্যরা টানাইছে।’
লাল নিশান টানানোর ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘আল্লাহর বিশেষ কুদরতের কারণে এই রকম অইছে। এই গাছ আল্লাহর নিয়ামত। মানুষ যাতে ভয় পায়, দূরে থাকে, এই জন্য আমরা আলোচনা কইরা লাল নিশান টনাইয়া দিছি। পরে গ্রামের সবাই মিলে আলাপ করে যা কিছু করার করবো।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ