শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:১৯, ৪ জুন ২০২৫
নিহত ইউনুছ আলী
নিহত ইউনুছ আলী ওই গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাতিজা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
সংঘর্ষের জেরে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৩৫-৪০টি বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সহিংসতা প্রতিরোধে সময়মতো পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না।
নিহত মহব্বত আলীর ছেলে এনামুল হক মঙ্গলবার থানায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়দের মতে, জামাল ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম মোল্লা ও আরিফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলছিলো দ্বন্দ্ব। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১ জুন) সকালে নজরুলের সমর্থকরা হামলা চালালে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে আরিফ হোসেনের অনুসারীরা। এতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়, আহত হয় অন্তত ৫ জন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, সংঘর্ষের আশঙ্কার কথা আগেই পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি সংঘর্ষ ও লুটপাট চলার সময়ও পুলিশের উপস্থিতি ছিল ইউনিয়নে।
তরিকুল ইসলাম নামের এক ক্ষতিগ্রস্ত বলেন, ‘আমার বাড়ি তছনছ করে দিয়েছে। ধান, গরু সব লুট গেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
জলি খাতুন নামে এক নারী জানান, ‘বোনের বিয়ের জন্য বানানো স্বর্ণালঙ্কার পর্যন্ত নিয়ে গেছে। টিভি, ফ্রিজ সবকিছু ভাঙচুর করেছে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউনুছ আলী মারা গেছেন, মোট নিহত এখন দুইজন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে সংঘর্ষের আশঙ্কার কথা আমাকে কেউ আগে জানায়নি।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ