ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

রাঙামাটিতে ডিএসএ’র আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭:৩৫, ২৫ জুন ২০২৫

রাঙামাটিতে ডিএসএ’র আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

‘অযোগ্যদের দিয়ে ক্রীড়া নয়, এডহক কমিটি বাতিল চাই’—এমন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের প্রাঙ্গণ। বুধবার সকাল থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিএসএ) বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে গঠিত এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন জেলার ৪৩টি নিবন্ধিত ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের সদস্য, খেলোয়াড়, কোচ ও সাধারণ ক্রীড়ামোদী মানুষ।

রাঙামাটি ক্লাব এসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল বাসেত অপু। সঞ্চালনা করেন ক্রীড়া সংগঠক মো. হান্নান। বক্তৃতা দেন সাউথ স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, প্রতিভাস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল, ছদক ক্লাবের সভাপতি প্রীতিময় চাকমা, ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রনেন চাকমা এবং বাংলা ভয়েস স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি শরিফুল হক শাকিল।

বক্তারা অভিযোগ করেন, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। ওই গোষ্ঠী আদালতে মামলা করে সংস্থার কার্যক্রম প্রায় পুরোপুরি অচল করে রেখেছে। এখন বিতর্কিত কিছু ব্যক্তিকে দিয়ে গঠিত নতুন আহ্বায়ক কমিটিও সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ, যার মাধ্যমে রাঙামাটির ক্রীড়াঙ্গনকে আরও স্থবির করে তোলা হচ্ছে।

তাঁরা জানান, নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসককে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তিনিও কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নন। এতে বোঝা যায়, পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল একতরফা ও পেছনের দরজা দিয়ে গঠিত। রাঙামাটির ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠনগুলো এই কমিটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না এবং এর অধীনে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

বক্তারা দাবি জানান, অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে নতুন ও গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তাঁরা।

মানববন্ধন শেষে ক্লাব এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেন, সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির একটি যৌক্তিক সমাধান খোঁজা হবে।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাঙামাটির ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ যেন প্রকাশ পেল—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখার বিষয়, দাবিগুলো কতটা গুরুত্ব পায় প্রশাসনের নিকট।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন