শিরোনাম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:৫৭, ২৫ জুন ২০২৫
উত্তোলন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক এবং বোয়ালখালী থানা পুলিশ এতে সহায়তা করেন। এ সময় শহীদ ওমরের মা ও পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও দাফন সম্পন্ন করা হবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওমরের লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। এরপর ১৬ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক এক নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, মামলা নম্বর ২১(৮)২৪, জিআর মামলা নম্বর ৩০৪/২৪ অনুযায়ী, ভিকটিম ওমর বিন নুরুল আবছার (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পরিবার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই গত বছরের ৫ আগস্ট তাকে দাফন করে। এতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় ব্যাহত হয় এবং মামলার তদন্তে জটিলতা তৈরি হয়।
মরদেহ উত্তোলনের সময় ওমরের মা কেঁদে বলেন, “আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা তখন ভয় পেয়ে লাশ দাফন করেছি, কিন্তু এখন সঠিক বিচার চাই।”
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্ত অপরিহার্য ছিল। এখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন মামলার অগ্রগতি ও বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ