শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৪০, ২৫ জুন ২০২৫
নতুন বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং ব্যয়ের পরিমাণ সমান—৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট আয়ের ৬০ শতাংশ। ডিএনসিসি প্রশাসক জানিয়েছেন, এই উচ্চ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত রয়েছে তা মোকাবিলায়। তিনি আরও বলেন, নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রমে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে উন্নয়ন খাতে, যা মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা পুরো বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৪৩৬ কোটি টাকা এবং মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ১৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পারিশ্রমিক খাতে ২৫৭ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
রাজস্ব আয়ের বড় একটি অংশ আসবে হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং এবং স্বাস্থ্য খাত থেকে, যা মোট রাজস্বের ৪৫ শতাংশ। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট অংশ সরকারি ও বেসরকারি অনুদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় আরও একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘ওয়ার্ড সচিব’ পদবির নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়ার্ড সুপারভাইজার’, ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ অথবা ‘ওয়ার্ড অর্গানাইজার’ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির বাজেট ছিল ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। নতুন বাজেট ঘোষণায় রাজধানীর উত্তরাংশে নাগরিক সেবা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ