শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৪৮, ২৫ জুন ২০২৫
ডাকাতদের আঘাতে আহত হয়েছেন বাড়ির মালিক ইছাম উদ্দিন (৭০)। তাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, চার ইউনিটের ওই বাড়িটিতে মালিক ও ভাড়াটিয়াসহ চারটি পরিবার বসবাস করতেন। রাত আড়াইটার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রসহ দেয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। জানা গেছে, এ সময় গেটের তালা খোলা ছিল।
ডাকাতরা একে একে সব ইউনিটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এরপর প্রতিটি কক্ষ তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র লুট করে নেয়। এছাড়া আসবাবপত্র ভাঙচুরও চালায় তারা।
এক ভাড়াটিয়া ও বিকাশ ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া জানান, “রাত ২টার পর ৪-৫ জন অস্ত্রধারী আমার ঘরে ঢুকে ক্যাশ ব্যাগে থাকা ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, স্ত্রীর স্বর্ণালংকার এবং জমির দলিলপত্র নিয়ে গেছে। আমার জীবনের সব সঞ্চয় শেষ।”
অন্য এক ভাড়াটিয়া জানান, “দ্বিতীয় দরজা ভেঙে আমাদের ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে অস্ত্র দেখিয়ে সব গয়নাগাটি লুটে নেয় ডাকাতরা।”
বাড়ির মালিক ইছাম উদ্দিন বলেন, “তারা শুধু আমার কাছ থেকেই ৪ লাখ টাকা লুটে নেয়। সব মিলিয়ে অন্তত ২২ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতরা নিয়ে গেছে।”
তার ছেলে জহিরুল ইসলাম ভাবন বলেন, “ডাকাতরা বাড়ির প্রতিটি কোণ তছনছ করে দিয়েছে। আমি এখনো হতবাক। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, “পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তের জন্য এক ভাড়াটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, এই ধরনের ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন তারা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ