শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৩৩, ২৫ জুন ২০২৫
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান চাইলে তেল বিক্রি করতেই পারে। ট্রাম্প বলেন, “তারা যদি তেল বিক্রি করতে চায়, তাহলে করবে। চীন চাইলে তাদের কাছ থেকে তেল কিনতেই পারে।” তিনি মনে করেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইরানকে নিজেদের পুনর্গঠনে অর্থের প্রয়োজন হবে, এবং তেল রপ্তানি সে লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
পারমাণবিক সক্ষমতা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তাদের পারমাণবিক সামগ্রী সরিয়ে নিতে পারেনি। “সেগুলো অনেক ভারী এবং সরানো কঠিন। আমার বিশ্বাস, এখন সেগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে,” বলেন তিনি।
সংলাপের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে কথা বলব। হয়তো একটি চুক্তিও হবে।” তবে তার ভাষ্য, এই চুক্তি কতটা জরুরি তা নিয়ে তিনি সংশয়ে আছেন। “চুক্তি হোক বা না হোক, আমি তেমন কিছু মনে করি না। তারা যুদ্ধ করেছে, লড়েছে, এখন নিজেদের জগতে ফিরে যাচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব,” যোগ করেন ট্রাম্প।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ট্রাম্প ইরানের ‘শান্তিকামী অংশের’ সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী এবং এই সংলাপ কতদূর এগোবে, তা নির্ভর করবে ইরানের আন্তরিকতার ওপর।
এই মন্তব্যগুলো এমন সময়ে এলো যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মাত্রা কিছুটা কমেছে এবং আন্তর্জাতিক মহল ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ