ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ক্ষতিপূরণ চাইছে ৩৯ হাজার ইসরায়েলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:৫৬, ২৫ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২০:০৭, ২৫ জুন ২০২৫

ক্ষতিপূরণ চাইছে ৩৯ হাজার ইসরায়েলি

ইরানের সঙ্গে ১২ দিন ধরে চলা তীব্র আকাশযুদ্ধ শেষে অবশেষে শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে মধ্যপ্রাচ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশ করতে শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ৩৯ হাজার ক্ষতিপূরণ আবেদন জমা পড়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক ইদিয়ত আহরোনোত-এর বরাতে আনাদুলু এজেন্সি জানায়, কর দপ্তরের অধীনস্থ ক্ষতিপূরণ তহবিলে এখন পর্যন্ত জমা পড়া ৩৮ হাজার ৭০০টি আবেদনের মধ্যে ৩০ হাজার ৮০৯টি ভবনের ক্ষতি, ৩ হাজার ৭১৩টি যানবাহনের ক্ষতি এবং ৪ হাজার ৮৫টি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষতির জন্য করা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি এসেছে তেল আবিব অঞ্চল থেকে—২৪ হাজার ৯৩২টি আবেদন। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলন থেকেও জমা পড়েছে ১০ হাজার ৭৯৩টি দাবি। তবে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, এখনো হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেগুলোর জন্য আবেদন আসেনি। ক্ষতির মোট আর্থিক পরিমাণ কত হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক হিসাব প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করে। তাদের অভিযোগ ছিল, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদিও তেহরান এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি অংশ নেয় এবং ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।

অবশেষে তীব্র কূটনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার ভোরে তা কার্যকর হওয়ার পর আপাতত বিরতি মিলেছে সংঘাতে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল সংকট এখনো মীমাংসিত হয়নি—মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন