ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৭

ফরিদা পারভীন কেমন আছেন, যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৫, ১৫ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪৭, ১৫ জুলাই ২০২৫

ফরিদা পারভীন কেমন আছেন, যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। রবিবার (১৩ জুলাই) থেকে তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস কার্যক্রম চলছে। 

হাসপাতাল সূত্র গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, ফরিদা পারভীনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেখানেই তাকে পরবর্তী চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

আগে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসার প্রয়োজনে দুই দফায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয় বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। 

ফরিদা পারভীন তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তে সংক্রমণ আছে।

কয়েক দিন ধরে ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শিল্পী ফরিদা পারভীন। শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় শুরুতেই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করানো হয়। অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় তাকে সেখানে রেখেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এর মধ্যে খবর ছড়ায়, ফরিদা পারভীন মারা গেছেন। ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষ তার ছবি পোস্ট করে মৃত্যুর খবর ছড়াচ্ছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিব্রত শিল্পীর পরিবার।

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে তার স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম শুরুতে বলেছিলেন, সার্বিকভাবে তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত কয়েক মাসে তিনবার আইসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ফুসফুস আর কিডনিজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল থাকে। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি পান না। হাঁটতেও পারেন না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

এদিকে শিল্পীর ছেলে, ইমাম জাফর নোমানী, সোমবার (১৪ জুলাই) ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, আম্মাকে এই মুহূর্তে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তারদের মতে, যদি ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তবে তার অবস্থার অবনতি হতে পারে। সবার কাছে আবারো অনুরোধ করছি, হাসপাতালে অতিরিক্ত ভিড় করা থেকে বিরত থাকুন।

ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুলসংগীত গাওয়া শুরু করেন এবং ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনসংগীতে তালিম নিয়েছেন। 

১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার এবং ১৯৯৩ সালে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া, তিনি শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি সংগীত স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছেন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন