শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:১৪, ১ মে ২০২৫
সাবেক প্রেমিকা সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও, ঐশ্বরিয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সালমান মদ্যপ অবস্থায় হিংসাত্মক আচরণ এবং মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের কারণেই তিনি সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন।
সেইসঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, সেই সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা এবং অসম্মানের অভিজ্ঞতাও হয়েছিল তার। এই বক্তব্য নিয়ে বলিউডে বিতর্ক উঠলেও, ভাইজান ছিলেন নীরব। কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে সোহেল খান বলেন, ‘ঐশ্বরিয়া আমাদের পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ঘন ঘন আমাদের বাড়িতে আসতেন। কিন্তু বাইরের জগতে কখনও সালমানকে নিজের প্রেমিক হিসেবে স্বীকার করেননি। তার এই দ্বিচারিতা সালমানকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করত।’
সোহেল আরও বলেন, ‘আজও সে কাঁদে, কিন্তু যখন সালমানের সঙ্গে ঘুরে বেড়াত, তখন কি কখনও তাদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছিল? কোনওদিন নয়। এটাই সালমানকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিয়েছে। সে জানতে চাইত, সে (ঐশ্বরিয়া) আসলে ওকে চায় কি না। কিন্তু সে কখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাত না।’
এই বক্তব্যের পাশাপাশি সোহেলের আরও দাবি ছিল, ঐশ্বরিয়া যখন বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, তখনও নাকি সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এই বিষয়টিই বিবেক ও সালমানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
২০০১ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০০৭ সালে ঐশ্বরিয়া বিয়ে করেন অভিষেক বচ্চনকে। তাদের কন্যা আরাধ্যার জন্ম হয় ২০১১ সালে। তবে এত বছর পেরিয়ে গেলেও, এই সম্পর্কের উত্থান-পতন নিয়ে বলিউড মহল ও দর্শকমনে কৌতূহলের কমতি নেই।