শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩৮, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫১, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পরে এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। সিদ্দিককে যারা মারধর করে থানায় সোপর্দ করেছেন তারা কোনো দলীয় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল সে। বিশেষ করে ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে সবার নজর কেড়েছিল সিদ্দিক। কিন্তু একবারও প্রার্থী হতে পারেনি সিদ্দিক।
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকে ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান তিনি।
‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে টিভি দর্শকদের নজর কাড়েন সিদ্দিক। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ তাকে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে সিদ্দিককে।