শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৪৯, ৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ০৮:৫১, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যেকোনো শান্তিচুক্তির জন্য হয়তো ‘কিছু অঞ্চল বিনিময়’ করতে হবে।
ট্রাম্প শুক্রবার (৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। আমরা রাশিয়াকে দিয়েই শুরু করব।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন কোনো অগ্রগতি হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে শান্তিচুক্তির জন্য অঞ্চল বিনিময় করা প্রয়োজন হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর ক্রেমলিনও এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুতিনের শীর্ষ উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, দুই নেতা ‘ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘমেয়াদি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা’ নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া হবে, তবে আমরা এতে সক্রিয় ও উদ্যমীভাবে অংশ নেব।’
শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করা গেলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তিনি জানান, গত কয়েক দিনে তিনি ডজনখানেক দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার দল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
চলতি সপ্তাহে মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
তাদের আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক এবং যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়ে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানায় উভয় পক্ষ।
এরপর বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আগামী সপ্তাহে পুতিন ও ট্রাম্প বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করা হয়।
ইউক্রেন ও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে এমন কোনো চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন, যে চুক্তির মাধ্যমে ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক ও জাপোরিঝঝিয়ার মতো অঞ্চলগুলো রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে। বর্তমানে এসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে।
তবে পুতিন বারবার বলে আসছেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখলে নিয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে কিছু অঞ্চল ইউক্রেনকে ছেড়ে দিতে হবে।
এদিকে ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দিন ধরে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কারণে এ প্রশ্ন আরো জোরদার হয়েছে।
আইসিসির আইনজীবীরা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। আইসিসি সদস্যভুক্ত কোনো দেশে গেলে তাকে আটক করা হতে পারে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র এই আদালতের সদস্য নয় এবং এর কর্তৃত্ব স্বীকার করে না। ট্রাম্প শুক্রবার জানান, আলাস্কায় তিনি পুতিনকে স্বাগত জানাবেন।
এর আগে ২০১৯ সালে এই দুই নেতার মধ্যে সর্বশেষ সরাসরি বৈঠক হয়েছিল।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ