শিরোনাম
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:২৭, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ. মামুন খান চিশতী।
তিনি বলেন, তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন এবং এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
মামুন খান চিশতী আরো বলেন, সকলের সহযোগিতায় এ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামাম তুহিনকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা করা হয়। প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন ও সুমন। ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে মামলার অন্য দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পাবনার পাঁচবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনা থানার বাসিন্দা মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। হত্যার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয় ফেসবুকে। সিসিটিভি ফুটেজে হত্যাকারীদের স্পষ্ট চেনা যায়। হত্যায় অংশ নিয়েছিল গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন।
এদিকে তুহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত যে মোবাইলটি দিয়ে সন্ত্রাসীদের কোপানোর দৃশ্যের ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিলেন, সেই মোবাইলটির হদিস মিলছে না।
মোবাইলটি উদ্ধার করা গেলে কারা হত্যায় জড়িত, সহজে চিহ্নিত করা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ