শিরোনাম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২৬, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢকা এক্সপ্রেস
শনিবার সকালে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এই কথা বলেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্থলবন্দর ঘুরে দেখে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে আটটি বন্দর বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল, যার মধ্যে ইতিমধ্যে চারটি বন্দর বন্ধ করা হয়েছে। বাকি ২০টির মধ্যে কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে মাত্র ১২ থেকে ১৪টি। তিনি বলেন, ‘যেখানে বছরে মাত্র ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়, অথচ খরচ হয় তার চেয়ে অনেক বেশি—সেসব বন্দর আধুনিকায়ন করে কোনো লাভ নেই। কার্যকর ও বড় বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নই এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, কিছু নদীবন্দরও একইভাবে লোকসানে চলছে, যেগুলো বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বন্দরগুলো আরো কার্যকর ও লাভজনকভাবে পরিচালিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
পরিদর্শনের আগে তিনি বন্দরের সভাকক্ষে কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ব্যবসায়ীরা এ সময় বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সমস্যা উপস্থাপন করেন এবং দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
পরে উপদেষ্টা হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে