শিরোনাম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৪৫, ৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪৭, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে নীলা একটি ভর্তি ফরমের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘ওই দিন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থায়। আমার নিজের নাম, পরিচয়, জীবনের সিদ্ধান্ত—সব কিছুর ওপর তখন আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আর ঠিক সেই সুযোগেই সারোয়ার তুষার আমার স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়ে দিয়েছে। এটা কোনো ‘ভুল’ নয়, এটি আইনগতভাবে জালিয়াতি।”
তিনি জানান, বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নথিতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং তা ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুসারে অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করাও অপরাধ।
নীলা ইস্রাফিল বলেন, ‘আমার অনুমতি ছাড়া আমার পারিবারিক পরিচয় বিকৃত করা মানে শুধু আমার সামাজিক সম্মানকে আঘাত করা নয়, এটি আমার মানবাধিকার লঙ্ঘন। ইউডিএইচআরের ধারা ৩, ৫, ১২ ও ২২ অনুযায়ী আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা, গোপনীয়তা এবং আইনি নিরাপত্তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। হাসপাতালের নথিতে এই ভুয়া তথ্য ভবিষ্যতে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে, যা আমার সামাজিক ও আইনগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।’
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করা হোক, দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং তার প্রকৃত তথ্য পুনঃস্থাপন করা হোক। তিনি আরো বলেন, রোগীর অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা এমন অপরাধ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা উচিত।
নীলা ইস্রাফিল বলেন, ‘এটা শুধু আমার লড়াই নয়, এটা প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়, মর্যাদা এবং অধিকারের জন্য লড়াই।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে