শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০, ৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ০৮:৩৪, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসিতে এসে জড়ো হন তারা।
বিক্ষোভে শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুহসীন হল, বিজয় ৭১ হল, এ এফ রহমান হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। রোকেয়া হলের ছাত্রীরা গেটের তালা ভেঙে বাইরে বের হয়ে এসে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত আড়াইটার সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান তার বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি এ সময় বলেন, ঢাবির আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। তিনি জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এই নীতিমালার অধীনে স্ব স্ব হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন।
মুহসীন হলের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, ঢাবিতে আবার জুলাই নেমে এসেছে। জুলাইয়ের অঙ্গীকার হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখা। কিন্তু এখন হলগুলোতে গুপ্ত আর সুপ্ত উভয় রাজনীতি চলছে। অনতিবিলম্বে আমরা হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত দেখতে চাই। যারা হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা ছাত্রলীগের পরিণতি বরণ করতে না চাইলে হলে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর চেষ্টা কইরেন না।
রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, কেউ যদি ছাত্রলীগের আতিকার মতো পরিণতি না চান, তাহলে হলে ছাত্ররাজনীতির আলাপ তুলবেন না।
এর আগে বিক্ষোভকারী রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে প্রাধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন। এ ছাড়া সুফিয়া কামাল হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীরাও হলে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন– রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে হল প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় তালা ভেঙে রাস্তায় নামবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা হলের গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে এসে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেছেন। দাবিগুলো হচ্ছে- কেন কমিটি দেওয়া হলো উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ