শিরোনাম
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:৩৭, ৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢকা এক্সপ্রেস
নিহত কবিরের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ২৮ জুলাই জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কবিরের চাচাতো ভাইসহ কয়েকজন সহযোগী তাকে বাড়ির পাশের বাগানে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখায়। আতঙ্কিত কবির দৌড়ে বাড়ি ফিরে কাঁপতে কাঁপতে পরিবারের সদস্যদের ঘটনা জানান।
এর পরদিন ২৯ জুলাই সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবার খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। নিখোঁজের তৃতীয় দিন কবিরের ঘরের সামনে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল—‘কবিরকে মেরে ফেলা হয়েছে, পরবর্তী টার্গেট তার ছোট ভাই কামরুল।’ অবশেষে ১ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের হাতে-পায়ে, বুকে ও চোখে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পরিবারের অভিযোগ, সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে “অপমৃত্যু” মামলা রুজু করে এবং আটককৃতদের দ্রুত ছেড়ে দেয়। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বোন সুরমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন, কারো সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে তজুমদ্দিন থানা ঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি মহাব্বত খান বলেন, ‘আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে