শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১০, ১৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২০, ১৩ জুন ২০২৫
এই ঘটনার পর এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আইয়াল জামির বলেন, ‘১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং সব সীমান্তজুড়ে আমরা পূর্ণ প্রস্তুতিতে আছি। যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাইবে, তাকে বড় মূল্য দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জনগণকে সম্পূর্ণ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারি না। ইরানি শাসকগোষ্ঠী প্রতিশোধ নিতে চাইবে, এবং এ হামলার সম্ভাব্য মূল্য আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে।’
সেনাপ্রধানের ভাষণে উল্লেখ করা হয়, ‘এ অভিযানের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই চলছিল এবং সেনাবাহিনীর সব শাখা ও বিভাগ নজিরবিহীন সমন্বয়ে বাস্তব ও তাৎক্ষণিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিয়েছে।’
টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েল শতাধিক হামলা চালিয়েছে এবং এর মধ্যে তেহরান, ইসফাহান, সিরজান, মাসজেদে সোলেইমানসহ আটটি শহরে লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত হেনেছে। ইরানি বার্তা সংস্থা ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং কিছু আবাসিক ভবনেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান কঠোর জবাবের ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেছেন, ‘জায়নবাদী ইসরায়েলের এই বর্বর হামলার জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে। তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান এই আগ্রাসনকে চুপচাপ মেনে নেবে না।’
এই হামলার পরপরই জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি যেন আরও না ঘোলাটে হয়, সে বিষয়ে সকল পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমআরএইচ