আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:২৩, ১৩ জুন ২০২৫
উড়োজাহাজের ১১এ নম্বর আসনে বসা রমেশ সংবাদমাধ্যম ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘উড্ডয়নের এক মিনিটের মধ্যেই কিছু একটা আটকে যাওয়ার শব্দ পাই। তারপর দেখি আলো ঝলসে উঠছে, উড়োজাহাজ জোরে ছুটছে, এবং আচমকা একটি হাসপাতালের হোস্টেলে আছড়ে পড়ে।’’ তখনই তাঁর মনে হয়েছিল, মৃত্যুই হয়তো তাঁর সামনে।
রমেশ আরও বলেন, ‘আমি সিটবেল্ট খুলে বেরোনোর চেষ্টা করলাম এবং পারলামও। আমার মনে হয়, আমি উড়োজাহাজের যে পাশটায় ছিলাম, সেটি হোস্টেলের দিকে ছিল না। আমি যেখানে নামলাম, সেটি মাটির কাছাকাছি ছিল এবং সেখানে ফাঁকা জায়গাও ছিল। আমার পাশের দরজাটা ভেঙে পড়ার পর দেখলাম, বাইরে জায়গা আছে। আর তখনই ভাবলাম, চেষ্টা করলে বেরিয়ে যেতে পারি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিষ্ণু রক্তমাখা টি-শার্ট পরে পা টেনে টেনে হাঁটছেন এবং নিজেই অ্যাম্বুলেন্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বিষ্ণু বলেন, ‘আগুনে আমার বাঁ হাতটা সামান্য পুড়ে গেছে। একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমাকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানকার লোকজন খুব ভালোভাবে আমার দেখভাল করছে।’
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা উড়োজাহাজটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডীয় যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া বিমানে ছিলেন ১২ জন ক্রু সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬৫–তে দাঁড়িয়েছে।
উড়োজাহাজের আরোহীরা ছাড়াও উড়োজাহাজটি যেখানটায় আছড়ে পড়েছে, সেখানেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এমআরএইচ