ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:৫৫, ২০ মার্চ ২০২৫

রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যা করবেন

রোজা রেখে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ঘুমের সময়, ব্যায়ামের রুটিনের কিছুটা পরিবর্তন আসে্। এছাড়া পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং অত্যধিক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। 

কেউ যদি পর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরও সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানায় যান,  তখন একে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যেতে পারে।

নিচের লক্ষণগুলো দেখে কোষ্ঠকাঠিন্য নির্ণয় করা যায়:
•    শক্ত পায়খানা হওয়া,
•     পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া,
•    অধিক সময় ধরে পায়খানা করার পরও পূর্ণতা না আসা,
•    আঙুল কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে পায়খানা বের করা এবং
•     মলদ্বারের আশপাশ এবং তলপেটে ব্যথা অনুভব করা।

রোজার মাসে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কিছু পরামর্শ জেনে নিন-

সাহ্‌রি ও ইফতারে অবশ্যই আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখুন লাউ, ঢ্যাঁড়সের মতো সবজি; পেঁপে, আপেল ও কলার মতো ফল; লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, ওটস; বিভিন্ন রকমের ডাল ও ছোলা। খেজুরে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে, তাই ইফতার ও সাহ্‌রিতে অন্তত একটা করে খেজুর রাখুন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ২২ থেকে ৩৪ গ্রাম ফাইবার বা আঁশের প্রয়োজন হয়। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত সময়ে এই ফাইবারটুকু প্রদান করতে হবে শরীরকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্যের একটা বড় কারণ পানি কম খাওয়া। তাই নিজেকে আর্দ্র রাখুন। ইফতার থেকে সাহ্‌রি পর্যন্ত কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খান। অতিরিক্ত চা, কফি, কোমলপানীয় পরিহার করতে হবে।

ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মসলাযুক্ত খাবার প্রতিদিন না রেখে সপ্তাহে ১/২ দিন পরিমাণ মতো রাখার পরামর্শ দেন ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা। তবে সম্ভব হলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো বলে মনে করেন তিনি। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমবে। 

রোজার সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিন। ঘরে তৈরি হালকা খাবার খান। যেকোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, চিনি এড়িয়ে চলুন।

আগে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ইফতারে ইশবগুলের ভুসির শরবত খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
রোজায় সকালে শরীরচর্চা করা সম্ভব হয় না, তবে রাতে হালকা ব্যায়াম, স্ট্রেচিং, ধীরলয়ে হাঁটতেই পারেন।

সাহ্‌রিতে খাওয়া শেষে মিনিট বিশেক পর হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন।

কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা এর পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। অবশ্য যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা কলাকে এড়িয়ে চলুন।

প্রাকৃতিক খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিয়ম করে একই সময়ে টয়লেটে যাওয়া—এ রকম অভ্যাস ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ইফতারে পানিতে ইসবগুলের ভুসি, চিয়া সিড, সাহ্‌রিতে খাওয়া শেষে মিনিট বিশেক পর হালকা গরম পানিতে লেবু, গরম দুধ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
 

আরও পড়ুন