শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৪, ১ মার্চ ২০২৫
পালাবদলের পর রাজনীতিতে অনেকটা নতুন রূপে ফিরে এসেছে বিএনপির একসময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে নতুন দল নিয়ে এসেছেন গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। তাই প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে দৃশ্যমান না থাকলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
নির্বাচনে বিএনপিকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে—এমনটা ধরেই আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল-সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির বর্ধিত সভায় মূলত এ ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতিরই পূর্বাভাস দিয়ে তৃণমূল নেতাদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার প্রস্তুতি হিসেবে তৃণমূলের নেতাদের দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা।
বিএনপির নেতারা বলছেন, বর্ধিত সভায় মূলত তিনটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, দলীয় ঐক্য ধরে রাখা। দ্বিতীয়ত, নেতা-কর্মীদের দখল-চাঁদাবাজিসহ সামাজিক অপরাধ থেকে বিরত থাকা। আর তৃতীয়ত, নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের বিষয়ে সতর্কতা।
দিনব্যাপী ওই সভায় বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় ১০৬ জন নেতা বক্তব্য দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাত ১১টায় সমাপনী বক্তব্য দেন। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতা হিসেবে আমার নির্দেশনা, আজকে এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে এবং নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়ার পরে আপনারা উদ্যোগ গ্রহণ করুন। যে উদ্যোগের মাধ্যমে আপনি দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন, খারাপকে যতটুকু সম্ভব দূরে সরিয়ে দিতে পারবেন, আপনি আপনার এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।’
বিএনপির নেতারা বলছেন, বর্ধিত সভায় মূলত তিনটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, দলীয় ঐক্য ধরে রাখা। দ্বিতীয়ত, নেতা-কর্মীদের দখল-চাঁদাবাজিসহ সামাজিক অপরাধ থেকে বিরত থাকা। আর তৃতীয়ত, নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের বিষয়ে সতর্কতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্ভাব্য এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই ঘুরেফিরে তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ এসেছে। বিশেষ করে মানুষ বিরক্ত হয়, এ ধরনের যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নেতা-কর্মীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আমরা ঐক্যটাকেই বড় করে দেখছি। কারণ, বিগত ১৫-১৬ বছর শেখ হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা এত বেশি ছিল যে আমরা তেমন সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে পারিনি। ৫ আগস্টের পর আমরা ব্যাপকভাবে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। এখন ঐক্য সুদৃঢ় করার দিকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) নজর।