শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:০৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আহতদের চিকিৎসা চলছে। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
নিহত মোশাররফ হোসেন ওই গ্রামের শমসের মোল্লার ছেলে। আহতরা হলেন, আনিছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাহিদ। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহম্মদ আলী জানান, দিঘীরপাড় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ শিকদার ও আবু সাঈদের দুইটি সামাজিক দল ছিল। গ্রাম পার্যায়ে তারা আলিমুদ্দীন ও আহম্মদ আলী গ্রুপে বিভক্ত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উভয় গ্রুপের সামাজিক দলের সদস্যরা যুবদল নেতা শাহাবুল ও বিএনপি নেতা জাহিদ বিশ্বাসের দলে ভিড়ে যায় এবং সামাজিক বিরোধে লিপ্ত হয়। পুরোনো বিরোধর জের ধরে গত ২৮ এপ্রিল এক দফা সংঘর্ষ হয় এবং রেজওয়ান বিশ্বাসের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ঘটনার দিন আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারীসহ ৫ জনকে আহত করে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে এলাকায় পুলিশ আসার খবরে আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। কিন্তু সুযোগ বুঝে আহাম্মদ আলীর সমর্থকরা প্রতিপক্ষ আলিমুদ্দীন গ্রুপের সদস্য মোশাররফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ৭ জনকে গুরুতর জখম করে।
এর মধ্যে মোশাররফ হোসেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান। ঘটনার খবর পেয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ দিঘীরপাড় গ্রাম পরির্দশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, “সামাজিক দ্বন্দের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ