শিরোনাম
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
কাঞ্চনপুর গ্রামের ফরিদ মোল্যা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এতে বক্তব্য রাখেন, মুস্তাইন বিল্লাহ, ইভা খানম, হানেফ মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আব্দুল গফুর, জামিলা খানম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “গত ১১ এপ্রিল নড়াইলের কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ফরিদ মোল্যাকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যা করে মিলন মোল্যার লোকজন। এ হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামি পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে নিহতের মরদেহ বাদীপক্ষ রিকাইল শেখের বাড়ির গা ঘেষে ফেলে যায়। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আরেক জায়গায় পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রিকাইল শেখসহ তার লোকজনকে দোষারূপ করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।”
এ ছাড়াও, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রফিকুল হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত, তা দ্রুত বের করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
এ ছাড়া, ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, “রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ২৫০ মণ ধান লুট এবং ৪০ টি গরু-ছাগল নিয়ে গেছে। নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছে। অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা এবং আতাউর রহমান আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ইতোপূর্বে দুইপক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয়পক্ষে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ এপ্রিল দুইপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা নিহত হন। নিহত ফরিদ আফতাব মোল্যা পক্ষের সমর্থক। এ ছাড়া, উভয়পক্ষে অন্তত ৩০জন আহত হন।
কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ