শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫, ১ মে ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৯, ১ মে ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। সম্প্রতি সরকারের কাছে পেশ করা ২৫ দফা সুপারিশের শীর্ষে রয়েছে এই বিশাল অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমশক্তিকে আইনি স্বীকৃতি এবং সুরক্ষা প্রদানের প্রস্তাব।
কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমরা শ্রম আইনে তাদের একই অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেছি।’
এই প্রেক্ষাপটে আজ ১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। তবে আজও অগণিত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক কাজ করে যাবেন ছুটির দিনেও। যদিও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য—‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ১২ কোটির বেশি, যার মধ্যে শ্রমশক্তির সংখ্যা ৭ কোটি ৩৪ লাখেরও বেশি। এর ৮৪ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যুক্ত।
আইএলওর সংজ্ঞা অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই, আইনি সত্তা নেই, পরিপূর্ণ হিসাব নেই—সেসব খাতকে বলা হয় অনানুষ্ঠানিক খাত। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে এদের সংখ্যাই বেশি। বিশেষত, গ্রামীণ এলাকায় এদের সংখ্যা আরও বেশি—গ্রামের ৮৭ শতাংশ শ্রমিকই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন।
শ্রমিকদের জন্য পরিচয়পত্র, সামাজিক সুরক্ষা, মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রমিক সহায়তা ডেস্ক স্থাপন, অবসরকালীন ভাতা চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রবীণ অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের জন্য অসরকালীন ভাতার প্রস্তাবও রয়েছে।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের বহু শ্রমিক এখনও ন্যূনতম মজুরি কাঠামোর বাইরে। বর্তমানে স্বীকৃত ১০২টি শিল্পের মধ্যে মাত্র ৪৭টিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কয়েক দশকেও মজুরি হালনাগাদ হয়নি, যেমন টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পে সর্বশেষ মজুরি নির্ধারণ হয়েছিল ১৯৮৩ সালে।
নিম্নতম মজুরি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আরও ২০টি শিল্প খাতকে ন্যূনতম মজুরির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মালিক পক্ষ অসহযোগিতার কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি