শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৫, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২১:২২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা। ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৪, ১৫ ও ১৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং পুলিশ হামলা চালায়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরবর্তীতে নতুন প্রশাসন দায়িত্বে এসে এসব হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন শেষে গত ১৭ মার্চ সিন্ডিকেট সভা থেকে ২৫৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি বহিষ্কারাদেশের চিঠি নিজ নিজ বিভাগে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বহিষ্কারাদেশের চিঠি ইতিহাস বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকায় বিভাগটির মোট ১২ জন শিক্ষার্থীর নামপরিচয় উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম নামটি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মৃত শামীম মোল্লার নাম। ওই চিঠিতে শামীম মোল্লার নামের পাশে ব্র্যাকেটে ‘মৃত’ লেখা রয়েছে। বিষয়টি ঘিরে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, একজন মৃত ব্যক্তিকে বহিষ্কার করে প্রশাসন উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে পিটুনি দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। হস্তান্তরের প্রায় দুই ঘণ্টা পর শামীম মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কার এবং মামলা করে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান বলেছেন, সিন্ডিকেট থেকে প্রাপ্ত তালিকা শিক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রস্তুত করে তাঁর কাছে দিয়েছিলেন। ৩৭টি বিভাগে আলাদা আলাদা চিঠি স্বাক্ষর করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। তাঁরা দ্রুত বিষয়টি ঠিক করে পুনরায় বিভাগে পাঠাবেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ