শিরোনাম
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:০৩, ৬ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৫:১০, ৬ মে ২০২৫
নিহত চিংমা খেয়াং (২৯)। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, চিংমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত চিংমা খেয়াং একই এলাকার বাসিন্দা সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, চিংমা খেয়াং সকালে জুম চাষের জন্য পাহাড়ে যান কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা জঙ্গলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায় এবং তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
স্থানীয়দের অনেকেই ধারণা করছেন, চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ উপড়ে ফেলা এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার কারণে তাদের এই সন্দেহ আরো বেড়ে যায়।
তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলটি অত্যন্ত দুর্গম এবং নেটওয়ার্কবিহীন এলাকা। খবর পেয়ে পুলিশকে তাৎক্ষনিক অবহিত করা হয়েছে।
বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট) আবদুল করিম বলেছেন, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মহিলা পুলিশসহ থানার একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ঘটনাস্থলটি থানা থেকে দূরে এবং দুর্গম। মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।