ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

মাদ্রাসা ছাত্র সানিমকে পিটিয়ে হত্যা 

অধ্যক্ষের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৫:৩৪, ১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫৮, ১ জুন ২০২৫

অধ্যক্ষের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন 

ছবি: সংগৃহীত 

লক্ষ্মীপুরে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনকে (৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার দ্বিতীয় আসামি অধ্যক্ষ বশির আহমদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও পুলিশ বশির ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ উঠেছে। 

রোববার (১ জুন) দুপুরে প্রথমে শহরের আল মুঈন ইসলামী একাডেমির সামনে মানববন্ধন করে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনেও মানববন্ধনে দাঁড়ান তারা। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতা মাদরাসার বাইরের অংশের কাঁচ ভাঙচুর করে। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নুর নবী, খালেদ মাহমুদ, ইকবাল মাহমুদ, নিহত সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির মাতাব্বর ও মা জয়নব বিবি প্রমুখ। 

মামলা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় আল মুঈন ইসলামী একাডেমি থেকে নিহত সানিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির মাতব্বরের ছেলে ও মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সানিম ২২ পারা কোরআনের হাফেজ ছিলো। ঘটনার রাতেই সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা করেন। বশির ছাড়া অন্যরা হলেন শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ ও ফয়সাল। এর মধ্যে ঘটনার দিন মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বশির ও ফয়সাল এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। 

বক্তব্যে মাওলানা নুরনবী, খালেদ মাহমুদ ও ইকবাল মাহমুদ জানায়, শিক্ষকরা বলছে সানিম আত্মহত্যা করেছে মাদরাসার ৩ তলায়। কিন্তু তার মরদেহ পাওয়া গেছে নিচতলার একটি কক্ষে। নিচতলায় নামানোর কোনো ফুটেজ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। অভিযুক্তরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। 

সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা জহুরা বেগম জানান, তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দফায় দফায় তাকে পিটিয়েছে। সানিম ফাঁসি নেয়নি। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমেদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্লাস শেষে সবাইকে নামাজ আর খাওয়ার বিরতি দেওয়া হয়। নামাজ পড়ে সবাই খাওয়ার জন্য যায়। কিন্তু সানিম যায়নি। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সে গামছা নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

মামাল তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফজলুল করিম বলেন, ‘মামলায় প্রধান আসামিকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে আমরা তৎপর রয়েছি।’ 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ 

আরও পড়ুন