শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৫৬, ৪ জুন ২০২৫
কমলনগর মেঘনা নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের বসতভিটায় পানি উঠে গেছে । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
কথাগুলো ঢাকা এক্সপ্রেসকে বলছিলেন- লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার নবীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিক। তার বাড়ি নবীগঞ্জ বাজারের পাশে মেঘনা নদীর পাড়ে।
মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ ধীর গতিতে চলছে। কাজ রেখে ঠিকাদার পালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। এজন্য অমাবস্যা ও সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে নদীর মাঝামাঝি ও আশপাশের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। চলচলে সড়ক ভেঙে গেছে। মেঘনার পানিতে ভাসছে গবাদিপশু। পানি উঠেছে বেশ কয়েকটি গ্রামে।
শফিক ছাড়াও মেঘনারপাড়ে কথা হয়েছে ইব্রাহিম খলিল ও ফয়সালসহ বেশ কয়েকজনের সাথে। তারা জানিয়েছে, মেঘনা নদী রক্ষায় ৩১শ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তীর রক্ষা বাঁধের টেন্ডারের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোন বাঁধ দেখা যাচ্ছে না। এজন্য সাগরে যে কোন নিম্মচাপের প্রভাবে চর লরেঞ্চ, চর মার্টিন, চর কালকিনি ও সাহেবের হাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে মানুষে ঘর-বাড়ি, গরু-মহিষ নদীতে ভেছে যায়। ভেঙে যায় রাস্তা ঘাট। অতি দ্রুত সময়ে তীর রক্ষা বাঁধ নির্মানের দাবি তাদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৩১ কিলোমিটার কাজকে ৯৭টা প্যাকেজ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯২টার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লক বসানো কাজ ৪৫-৫০ শতাংশ হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আমাদের কাছে নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খাঁন ঢাকা এক্সপ্রেসে বলেন, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাগিদ দিয়ে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্ট চলছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ