শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:৪৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
তবে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন এবং তাঁদের উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এ কারণে তাদের সংখ্যা হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শুক্রবারের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট নিহত হয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার ৪০০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনের বেশি। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৬ শতাংশ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
চলমান সহিংসতা থামাতে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যুদ্ধবন্দি বিনিময় নিয়ে মতানৈক্যের জেরে ১৮ মার্চ থেকে ফের অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত ৩৮ দিনে নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জন।
হামাসের ধরে নিয়ে যাওয়া ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, সামরিক অভিযান চালিয়েই তাদের উদ্ধার করা হবে।
এদিকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন— হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল এবং সকল জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি