ব্রেকিং
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩৫, ২১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৭, ২১ জুলাই ২০২৫
ছবি: বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর
বিমানবাহিনীর সেই কর্মকর্তা বলেন, ‘তৌকিরের আজ প্রথম একক মিশন ছিল, একটু আগে তিনি ডুয়াল ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। এয়ারক্রাফট টেকঅফ করার একটুখানি যাওয়ার পর এয়ারক্রাফট কোন রিঅ্যাক্ট করছিল না। তারপরে এয়ারক্রাফট স্টল করে, তখন তার কন্ট্রোলে ছিল না। মোবাইল টাওয়ার থেকে তাকে ইজেক্ট করতে বলা হচ্ছিল, কিন্তু এত লোয়ার ফ্লাইয়িং হচ্ছিল যে, ওই সময়ে ইজেক্ট করা আসলে পসিবলও ছিল না। তিনি চেষ্টা করছিলেন যে, অন্যভাবে কিছু করা যায় কি না। কিন্তু দুর্ভাগ্য।’
তিনি আরো বলেন, ফ্ল্যাইটটি দিয়াবাড়ির ফাঁকা স্থানে ফেলতে চেয়েছিলেন তৌকির ইসলাম। এজন্য বেশ কিছু সময় ধরে চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি; জেটটি বাউন্স করে মাইলস্টোন এলাকায় গিয়ে আছড়ে পড়ে।
সশস্ত্র বাহিনীর ওই সদস্য বলেন, শুরুতে তৌকির বেঁচে ছিলেন; তার পালস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি আর নেই। এর আগে তাকে হেলিকপ্টার এমআই ১৭-তে করে রাজধানীর একটি সিএমএইচ হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। ওই সদস্য আরো জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ফ্ল্যাইটেই ছিলেন তৌকির; এটি ছিল তার প্রথম সোলো ফ্লাইট।
উল্লেখ্য, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এফ-৭ বিজেআই মডেলের এ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৭০ জনকে জাতীয় বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে যাদের অবস্থা আশংকাজনক।
খবর পেয়ে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট। সেই সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যোগ দিয়েছে ২ প্লাটুন বিজিবি। দুপুর ১টা ২২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে