শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৯, ২২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩০, ২২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সেখানে শুধুই নীরবতা। প্রতিদিনকার মুখর ক্লাসরুমগুলো এখন খালি-সুনশান। ভবনের করিডোরে নেই কোলাহল-শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটি। বাতাসে ভাসছে পোড়া গন্ধ, পুড়েছে শরীর কিংবা কারো স্বপ্ন!
স্কুল ভবনের সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শিশুদের বই, খাতা, ব্যাগ, জুতা, পানির বোতল, এমনকি কয়েকজনের আঁকা ছবি। এই ব্যাগ-বই-খাতায় যাদের কোমল হাত পড়তো তারা অনেকে হয়তো না ফেরার দেশে কিংবা হাসপাতালের বেডে পোড়া শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছে।
ক্যাম্পাসের প্রাইমারি শাখার সামনের ভবন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সেই বিভীষিকাময় ঘটনার চিহ্ন। তৃতীয় শ্রেণির ‘প্রাথমিক বিজ্ঞান’, ‘বাংলা ব্যাকরণ’সহ একাধিক বই অর্ধেক পুড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের পাশে। খাতার পাতাগুলো যেন আগুনের আঁচে বিবর্ণ হয়ে গেছে, কারো নাম লেখা মলাট এখনো দৃশ্যমান। চারপাশে পোড়া কাগজের গন্ধ, সিঁড়ির পাশে পড়ে আছে ছোটদের ব্যাগ।
উপস্থিত উৎসুক জনতা ও অভিভাবকদের চোখে-মুখেও উদ্বেগ, ক্ষোভ আর বেদনার ছাপ।
নাজনীন সুলতানা নামে এক অভিভাবক বললেন, এগুলো আমাদের সন্তানের বই। তারা এখানে পড়া লেখা করছিল। এখন শুধু ছাঁই আর ধোঁয়া। স্কুল মানেই তো নিরাপদ আশ্রয় হওয়ার কথা। তা মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠলো!
রফিকুল ইসলাম নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি নিজেও উদ্ধার কাজে এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ছোটদের আর্তনাদ শুনে দৌড়ে এসেছিলাম। ধোঁয়ার ভেতর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। যারা বাঁচতে পেরেছে, তারাই বলছে— ভেতরে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায়নি।
এদিকে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। সর্বশেষ এ দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৭৮ জন। এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ