শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১০, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অফিস সহায়ক ফিরোজ শাহকে রেজিস্ট্রারের অধীন প্রশাসন-৮ দপ্তরের উচ্চমান সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। অনেকে অভিযোগ করেছেন, উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান নিজের বিভাগের পছন্দের ব্যক্তিকে সুবিধা দিয়েছেন। তবে উপাচার্যের দাবি, ফিরোজকে কেবল বদলি করে তাঁর দপ্তরে আনা হয়েছে। নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
ঢাবিতে উচ্চমান সহকারী পদটি তৃতীয় শ্রেণির সমমানের। এই পদে নিয়োগ পেতে সাধারণত স্নাতক পাস প্রার্থীদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। চাকরিপ্রত্যাশী হৃদয় সাখাওয়াত এ প্রসঙ্গে বলেন, চাকরির জন্য অনেক পরিশ্রম করেও নিশ্চিত কিছু থাকে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অনিয়ম কাম্য নয়, বিশেষ করে পরিবর্তনের প্রত্যাশিত সময়ে।
২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক নিয়াজ আহমেদ খান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর তিনি নিজ বিভাগের অফিস সহায়ক ফিরোজ শাহকে বদলি করে উপাচার্যের প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব দেন। পরে জানা যায়, ফিরোজ শাহ উপাচার্যের পিএস আব্দুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান এবং প্রশাসন-৮ দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালমা বিনতে হকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় উচ্চমান সহকারী পদে নিয়োগের জন্য তদবির করেন। উপাচার্যের সম্মতি নিয়ে বিষয়টি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয় এবং ফিরোজকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে পিএস আব্দুর রহমান নিশাত এবং মনিরুজ্জামান সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন। আব্দুর রহমান বলেন, আমি এই নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।
এদিকে মনিরুজ্জামান বলেন, এই নিয়োগের ফাইল আমার কাছে আসেনি। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
প্রক্রিয়াটি দাপ্তরিকভাবে সম্পন্ন করেন প্রশাসন-৮ দপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মোরশেদ। তিনি জানান, উপাচার্য চাইলে নির্বাহী আদেশে এমন নিয়োগ দিতে পারেন এবং এতে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
রেজিস্ট্রারের অধীন দপ্তরগুলোর তদারকি করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা। তবে এ নিয়োগের ফাইল তাঁর অফিসে না পাঠিয়ে সরাসরি উপাচার্যের দপ্তর থেকেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনশী শামস উদ্দীন আহমেদ বলেন, ফিরোজ শাহ অফিস সহায়ক (গ্রেড-২) হিসেবে উচ্চমান সহকারীর সমান বেতন পেতেন। তাই কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় তাঁকে উচ্চমান সহকারী করা হয়েছে।
ফিরোজ শাহ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমি শুধু ফিরোজকে বদলি করেছি। আমার মেয়াদ শেষে সে আগের বিভাগে ফেরত যাবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি