শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:১৩, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
উপাচার্য ছাড়াও যাঁরা দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা হলেন—
ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ (আইএআর)-এর নির্বাহী পরিচালক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক এম. রিজওয়ান খান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. নুরুল হুদা, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মো. ওমর ফারুক, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক হাসান সারওয়ার, আইআরইসি-এর পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের প্রধান মো. কে. মাশুকুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান তাহমিনা ফয়েজ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইন প্রফেশনাল এডুকেশন (CDIPE)-এর পরিচালক সুমন আহমেদ, ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রামের পরিচালক জান্নাতুন নূর, বিজিই প্রোগ্রামের পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং ইনফরমেশন নেটওয়ার্কিং সিস্টেমস (INS)-এর পরিচালক অধ্যাপক আবু সাকলায়েন।
এর আগে, গতকাল সকাল থেকেই তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ইউআইইউ-এর শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত তিন দফা দাবি ছিল—
১. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হুদার পদত্যাগ, যাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, ইউআইইউ রিফর্ম ১.০ ও জুলাই বিপ্লবে বাধা প্রদান, এক ছাত্রী বাবার মৃত্যুর পর ডেড সার্টিফিকেট চাওয়া, আইসিইউ ফেরত শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২. মিডটার্ম পরীক্ষার সময়সীমা আগের নিয়মে ফিরিয়ে আনা, যা সম্প্রতি ১৫ মিনিট কমানো হয়েছিল।
৩. ইউআইইউ রিফর্ম ১.০-এর আওতায় স্বীকৃত সব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা, বিশেষ করে মিডটার্ম ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি কোর্সপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা।
শিক্ষার্থীদের দৃঢ় অবস্থান এবং লাগাতার চাপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি