শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৭, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকা ও লন্ডনের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের বাসায় আছেন এবং সেখানে তার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এনে তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন। তার সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি খালেদা জিয়াকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরানোর অনুমতি চেয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
সরকারও এই বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। লন্ডন ও দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরানোর জন্য। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বুধবার (৩০ এপ্রিল) এর মধ্যেই তিনি ফিরবেন।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে বন্দি ছিলেন। পরে কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার বিশেষ বিবেচনায় তাকে মুক্তি দেয়।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির দুই মামলার রায় বাতিল করে।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে ১৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়।
অনেক বছর পর এবার তিনি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন। এর আগে কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ তিনি কারাগার ও হাসপাতালেই কাটিয়েছিলেন।
বর্তমানে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি সমস্যা, হার্টের অসুস্থতা, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। তার পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা চলছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি