শিরোনাম
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৭, ২৩ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ক্রিকবাজের বরাতে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টের পর কিংবা সিরিজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তটি জানাতে পারেন শান্ত। যদিও বিষয়টি এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই রয়েছে।
শান্তর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র ‘ক্রিকবাজ’-কে জানায়, আমি মনে করি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর তিনি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আর থাকবেন না। আমি তাকে অনেক দিন ধরে চিনি এবং যতদূর আমি বুঝতে পারি তার সঙ্গে যা ঘটেছে তাতে তিনি খুশি নন।
বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শান্ত তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরেই নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এক বছরের জন্য টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই ওয়ানডে অধিনায়কত্বে বদল আনা হয়, যা তার জন্য ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত।
শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে। তখন তিনি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ওয়ানডে ও টেস্ট নেতৃত্বে তিনি আগ্রহী। তৎকালীন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও তাকে অন্তত টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেছিলেন।
কিন্তু গত ১২ জুন, এক জরুরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিসিবি ঘোষণা দেয়, ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্রিকবাজ তাদের খবরে উল্লেখ করেছে, এই সিদ্ধান্তের সময়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে দল নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল শান্ত। কিন্তু ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ফোনকলের পর শান্ত আর সিমন্সের সঙ্গে বৈঠক করেননি।
যদিও নতুন বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরবর্তীতে বলেছিলেন, শান্তর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ডের সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি শান্ত নিজেও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বোর্ড সভাপতি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ