নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:১২, ১৫ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৩, ১৫ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
নান্নুর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) র্যাব-১১ জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর তাকে র্যাব-১০ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে সোহাগকে ভয়াবহভাবে হত্যা করা হয়। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সড়কের পাশে তাকে প্রথমে বেধড়ক পেটানো হয়, এরপর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাকে বিবস্ত্র করে, এমনকি কেউ কেউ সোহাগের শরীরের ওপর উঠে লাফিয়ে আঘাত করে।
নিহত সোহাগ পুরোনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ বিভিন্ন ভাঙারি পণ্যের ব্যবসা করতেন। তিনি একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। সোহাগের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তার ১৪ বছর বয়সি মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও ১১ বছর বয়সি ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহাগকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়। মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ হত্যার পেছনের কারণ, নেপথ্যের মদতদাতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
পুলিশ ও র্যাব জানিয়েছে, মামলার অন্যান্য আসামিদেরও শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে