শিরোনাম
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৫৭, ৩১ মে ২০২৫
নিহত শিশু নাজিয়া আক্তার লাবনী (৮)। ছবি : ঢাকা এক্সপ্রেস
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে নিহত লাবনীর বাবা নাহিদ আলম এনায়েতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনসহ স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসর গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ আলম ঢাকায় কর্মরত। তার বড় মেয়ে লাবনী মায়ের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে নানাবাড়িতে থেকে খাজা ইউনুস আলী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে নার্সারিতে পড়াশোনা করছিলো। মা নার্গিস খাতুন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় রয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে লাবনী তার নানাবাড়িতে বসবাস করছিলো। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নানি লালবানু প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন।
নিহতের দাদা আব্দুস ছালাম প্রামানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘নাহিদ আলম মেয়ের খরচের জন্য টাকা পাঠালেও লাবনীর হাতে তা পৌঁছাতো না।
লাবনীর বাবা নাহিদ আলম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়েটিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই পাষণ্ডদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই ফাঁসি।’
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনায়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ