শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৪৯, ৪ জুলাই ২০২৫
গত ৯ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তিন মাসের সময়সীমা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ‘পারস্পরিক’ শুল্কচুক্তিতে পৌঁছাতে। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল (৫ জুলাই) থেকেই বিভিন্ন দেশকে শুল্ক সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। চিঠিতে উল্লেখ থাকবে— কোন দেশকে কত শতাংশ শুল্ক দিতে হবে এবং সেই হার কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।
ট্রাম্প বলেন, "আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনো দেশের ওপর ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে, আবার কারও জন্য সেটা ৬০ বা ৭০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারে।"
এই ঘোষণার পরই বিশ্ববাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেশটির স্টক ও বন্ড বাজার বন্ধ ছিল, তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মার্কিন ডলার ও সরকারি বন্ডের দামেও পতন ঘটেছে।
বাণিজ্যচুক্তি বিষয়ে কারা পড়তে পারেন নতুন শুল্কের আওতায়, সে বিষয়ে ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের দিকে। জাপানকে ‘অতিরিক্ত সুবিধাভোগী’ উল্লেখ করে তিনি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। যদিও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি হতে পারে কৌশলগত চাপ তৈরির অংশ।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, কিছু দেশের ক্ষেত্রে আলোচনা চলমান থাকলে সময়সীমা নমনীয় হতে পারে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলায় তাদের জন্য সময় বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে ট্রাম্প সরাসরিই বলেছেন, “খুব একটা ছাড় দেওয়া হবে না। প্রায় সব দেশেই ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।”
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যচুক্তিতে পৌঁছেছে মাত্র দুটি দেশ—যুক্তরাজ্য ও চীন। এছাড়া ভিয়েতনামের সঙ্গেও একটি চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প, তবে সেই চুক্তির আনুষ্ঠানিক বিবরণ এখনো প্রকাশ পায়নি।
ট্রাম্পের ভাষায়, “১৭০টিরও বেশি দেশ আছে, আমরা সবাইকে নিয়ে আলাদা চুক্তি করতে পারি না। তাই নিজেরাই বলছি, তোমরা যদি মার্কিন বাজারে ব্যবসা করতে চাও, তাহলে নির্দিষ্ট হারে শুল্ক দিতে হবে।”
এই ‘একতরফা নির্ধারণ’কেই ট্রাম্প দেখছেন সহজ সমাধান হিসেবে। তাঁর মতে, সময়ক্ষেপণ না করে সরাসরি শুল্কহার চাপিয়ে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে কার্যকর কৌশল।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ