শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৫২, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৩, ২০ এপ্রিল ২০২৫
জারা বলেন, ‘নিজেকে প্রকাশ করার একটা গভীর তাগিদ থেকে র্যাপ শুরু করা। আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই শব্দ নিয়ে খেলতে পছন্দ করতাম, ছন্দে ছন্দে কথা বলতাম। তখনো জানতাম না একে র্যাপ বলে। বাড়িতে বাবা-মাকে বলতাম আমাকে একটা শব্দ দাও। এরপর ওই শব্দ দিয়ে ছন্দ মিলিয়ে ইচ্ছেমতো ছন্দ করতাম।’
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান ‘মোরালস’, যা তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ পরিচিত।
তিনি সব সময় হিজাব আর হুডি পরেন বলে সংগীত জগতে পরিচিতি পেয়েছেন ‘হুডজাবি’ নামে। নিজের জীবনাচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘সবাই জানে না যে আমি আসলে খুবই ধর্মপ্রাণ মানুষ। পুরুষের সঙ্গে গান করি না। তবে, কোনো নারী র্যাপারের সঙ্গে মঞ্চে গান করার ইচ্ছা আছে।’
জেদ্দায় জন্ম নেওয়া এই তারকা আরও জানান, খ্যাতি বা অর্থ নয়, বরং মানুষের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগটাই তাকে চালিত করে। তিনি বলেন, ‘আমি যত গান করি, প্রতিটা গানের পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে। আমি বর্ণবাদ, মানসিক স্বাস্থ্য, লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকা আর নৈতিকতা নিয়ে কথা বলি। আমার মনে হয়, সংগীতই মানুষের কাছে গল্প বলার, বার্তা পৌঁছে দেওয়ার শক্তিশালী উপায়।’
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মোরালস’ গানটির প্রসঙ্গে জারা বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ আমাকে কেবল র্যাপার হিসেবেই দেখুক। আমি সব ধরনের গান গাইতে চাই। র্যাপ, অ্যাফ্রো পিয়ানো, হিপহপ, সাইফার-কোনো নির্দিষ্ট ধাঁচে নিজেকে আটকে রাখতে চাই না। একজন শিল্পী হিসেবে সব সময় নতুন কিছু চেষ্টা করি।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমএইচ