শিরোনাম
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:২৬, ২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে এসব চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, জীবনমুখী, শিল্পমান সমৃদ্ধ ও বহুস্বর বিবৃত করে এমন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’ও ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অনুদানপ্রাপ্তদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রতিটি চলচ্চিত্রকে ৭৫ লাখ টাকা করে এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রতিটি চলচ্চিত্রকে ২০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
অনুদানের জন্য নির্বাচিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো— রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান (জগন্ময় পাল), মায়ের ডাক (লাবিব নাজমুছ ছাকিব), জুলাই (মাহমুদুল ইসলাম), রূহের কাফেলা (হাসান আহম্মেদ সানি), পরোটার স্বাদ (সিংখানু মারমা), খোঁয়ারি (সালেহ আহমেদ সোবহান), জীবন অপেরা (আলভী আহমেদ), জলযুদ্ধ (গোলাম সোহরাব দোদুল), কবির মুখ: দ্য টাইম কিপার (মুশফিকুর রহমান), কফিনের ডানা (আনুশেহ আনাদিল), নওয়াব ফুজুন্নেসা (সাহিবা মাহবুব) এবং জুঁই (সুজন মাহমুদ)।
অনুদানের জন্য নির্বাচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো— ‘মন্দ-ভালো’ (মাহবুব আলম), ‘ফেলানী’ (সাব্বির), ‘ঝুঁকির মাত্রা’ (তাফজিরা রহমান সামিয়া), ‘জীবনের গান’ (জাহিদ হাসান), ‘হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই’ (অভীক চন্দ্র তালুকদার), ‘ভরা বাদর’ (মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান), ‘১২৩০’ (সালমান নূর), ‘বৃন্দারাণীর আঙুল’ (শুভাশিস সিনহা), ‘একটি সিনেমার জন্য’ (সাদমান শাহরিয়ার), ‘দাফন’ (সাইদুল ইসলাম), ‘সাঁতার’ (ইফতেখার জাহান নয়ন), ‘মাংস কম’ (নোশিন নাওয়ার), ‘গগন’ (সুমন আনোয়ার), ‘অতিথি’ (মো. আবিদ মল্লিক), ‘বোবা’ (সালজার রহমান), ‘অদ্বৈত’ (সাদিয়া খালিদ), ‘আশার আলো’ (মো. আরিফুর রহমান), ‘গর্জনপুরের বাঘা’ (মো. মনিরুজ্জামান), ‘হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস’ (তাছলিমা নাসরিন নূপুর) এবং ‘অপসময়’ (মো. নাসরুল্লাহ মানসুর)।
অনুদানের নীতিমালা অনুযায়ী, অনুদানের প্রথম কিস্তির চেক পাওয়ার পর কাহিনিচিত্রের ক্ষেত্রে অনধিক ১৮ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের ক্ষেত্রে অনধিক ২৪ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থার ক্ষেত্রে এ সময় ছয় মাস করে সর্বোচ্চ দুই বার বাড়ানো যাবে।
অনুদান পাওয়া সিনেমাগুলো দেশের কমপক্ষে পাঁচটি সিনেমা হলে মুক্তি কিংবা কমপক্ষে ১০টি জেলা তথ্য কমপ্লেক্স/ শিল্পকলা একাডেমি/ পাবলিক অডিটোরিয়াম/ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করতে হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ