শিরোনাম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:১৮, ২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:১৯, ২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
এতে করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, দুর্ভোগে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা।
পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, আমরা পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করা হবে ততক্ষণ আমাদের অবস্থান থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দে-কে ধরে থানায় সোপর্দ করতে যান এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে আপত্তি জানান ওসি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী ও এনসিপির মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন আহত হন।
প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে থানা ঘেরাওয়ের কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা পটিয়া স্টেশনে আছেন। পরে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে যাই। তাকে ধরে থানায় নিয়ে গেলে আমিসহ আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ফেসবুকে লিখেন, পটিয়া থানা মাটির সঙ্গে মিশায়া দিতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, মঙ্গলবার রাতে একজনকে থানায় এনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা বলা হয়। ওই সময় থানা চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এর জেরে কিছু ছাত্র বুধবার সকাল থেকে থানা চত্বরে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর্ণভাবে অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, তারা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে কিছু দাবির কথা জানিয়েছে। আমরা সেটি বিবেচনা করছি। আশা করি দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ