শিরোনাম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৪৩, ৮ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার দুই মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ রেখেছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে ফিরলেও আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না।
স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগে বর্ষার শুরুতেই মোহনায় ইলিশের দেখা মিলত প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নদীতে ইলিশ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে এবার মৌসুমের শুরুতে মাছ না মেলায় তারা পড়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট, দেবগ্রাম ও উজানচর ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা ভোরবেলা নদীতে জাল ফেলছেন কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও হাতে উঠছে না আশানুরূপ ইলিশ। কেউ কেউ ২-৪টি ছোট সাইজের ইলিশ পাচ্ছেন, যা বাজারে বিক্রি করেও খরচ উঠছে না।
জেলে সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘আগে এই সময় নদীতে নামলেই বড় বড় ইলিশ পাওয়া যেত। এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাল ফেলেও ২-৩ কেজি মাছও পাই না। এতে সংসার চালানো তো দূরের কথা, জ্বালানি তেলের খরচও উঠে না।’
জেলেরা এখন আশায় দিন গুনছেন, হয়তো শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে নদীতে ফিরবে সেই কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশ। তার আগে যদি প্রকৃতি সদয় না হয়, তাহলে এবারের মৌসুমে ক্ষতির মুখে পড়বেন পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী হাজারো জেলে পরিবার।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, ইলিশ সাধারণত গভীর পানির মাছ কিন্তু পদ্মা নদীতে ডুবোচর আর নাব্যতা সংকটে মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ছাড়া, অতিরিক্ত স্রোত এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণেও ইলিশের দেখা আশানুরূপ মিলছে না।
নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরলে ইলিশ ফিরে আসবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে