শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৫২, ১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০৩, ১ জুলাই ২০২৫
সোমবার মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫০ জনকে কর্মভিসা দেওয়া হবে। শুধু ২০২৬ সালেই দেওয়া হবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি ভিসা।
তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই উদার অভিবাসন নীতি এসেছে কট্টর ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি-র হাত ধরেই, যিনি প্রায় তিন বছর আগে অভিবাসন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এটি তার সরকারের দ্বিতীয় দফার এমন পরিকল্পনা।
এর আগে, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৪.৫ লাখ অভিবাসী পারমিট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মেলোনি সরকার।
যদিও তিনি অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ধরে রেখেছেন—পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করা, ভূমধ্যসাগরে উদ্ধারকারী সংস্থার কার্যক্রম সীমিত করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—তবুও কানুনসম্মত অভিবাসনের দরজা উন্মুক্ত রাখতে তার সরকার দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ, বলে জানিয়েছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, এই কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে শিল্প ও কৃষি খাতের চাহিদা, বাস্তব আবেদন যাচাই এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলোর বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বৈধ অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত রাখতে সরকার দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাবে, যা আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর জন্য সুফল বয়ে আনবে।”
ইতালির জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশটিতে ২০২৪ সালে মৃত্যুর সংখ্যা নবজাতকের সংখ্যার চেয়ে ২ লাখ ৮১ হাজার বেশি। এতে করে মোট জনসংখ্যা কমে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজারে নেমেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইতালির জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে, যার ফলে শ্রমবাজারে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে ইতালিকে অন্তত ১ কোটি নতুন অভিবাসী গ্রহণ করতে হবে শুধু বর্তমান জনসংখ্যা ধরে রাখতে। এই তথ্য উঠে এসেছে ‘ওসেরভাতোরিও কন্তি পাব্বলিচি’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে।
ইতালির অন্যতম কৃষি সংগঠন কোলদিরেত্তি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, “এটি মাঠে শ্রমিকসংকট দূর করে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ