শিরোনাম
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১৯, ২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩৬, ২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
এই ম্যাচ দিয়ে অসুস্থতা কাটিয়ে অবশেষে ফিরেছেন এমবাপ্পেও। গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের কারণে গ্রুপ পর্বে না খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ‘এমবাপ্পে! এমবাপ্পে!’— ভক্তদের গর্জনে মুখর ছিল মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়াম, প্রায় পরিপূর্ণ গ্যালারি যেন জানান দিচ্ছিল রিয়ালের বিশ্বব্যাপী আকর্ষণ কতটা প্রবল।
তবে ম্যাচের শুরুটা ভালো করেছিল জুভেন্তাসই। সপ্তম মিনিটে কোলো মুয়ানি রিয়ালের রক্ষণ ভেদ করে চিপ শট নেন, বলটি অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে যায়। এরপর ক্যানান ইয়িলদিজের একটি দূরপাল্লার শটও চলে যায় বাইরে।
তবে ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে পায় জাবি আলোনসোর ৩-৪-৩ ছকে সাজানো রিয়াল। প্রথমার্ধে জুড বেলিংহাম ও ফেদেরিকো ভালভার্দের দুটি শট ফিরিয়ে দেন জুভেন্তাসের গোলরক্ষক মিচেল দি গ্রেগোরিও, যিনি ছিলেন তাদের রক্ষাকবচ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর ঠেকাতে পারেননি। ৫৪তম মিনিটে ট্রেন্টের নিখুঁত ক্রসে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন গার্সিয়া— চলতি টুর্নামেন্টে তার এটি তৃতীয় গোল। জুভেন্তাস গোলরক্ষক পরে ভালভার্দের বাইসাইকেল কিকও ঠেকান; কিন্তু ব্যবধান কমাতে পারেনি ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
এদিকে, বদলি হিসেবে নামা এমবাপ্পে কিছু দারুণ পজিশনে থাকলেও সতীর্থদের কাছ থেকে বল ঠিকঠাক না পেয়ে কার্যকর হতে পারেননি। ম্যাচটি তাই তার জন্য মূলত একটি ফিটনেস পরীক্ষা হিসেবেই থেকে যায়।
এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আলোনসোর শিষ্যরা এখন ধীরে ধীরে যেন বুঝিয়ে দিচ্ছেন— তাদের আসল রূপটা দেখা বাকি এখনো।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ