শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৪২, ২৮ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২১:৫৭, ২৮ জুন ২০২৫
মাত্র দশ মিনিট। কোনো অতিরিক্ত ব্যাখ্যা নয়, অভিযোগ নয়—শুধু একটি সিদ্ধান্ত জানিয়ে শান্ত ফিরে গেলেন ড্রেসিংরুমে। কিন্তু তার এই অল্প কথার ঘোষণায় বিসিবি যেন বাকরুদ্ধ। সিদ্ধান্তটি এতটাই আকস্মিক যে, ক্রিকেট বোর্ডের অভ্যন্তরে তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি, উদ্বেগ আর আলোচনা।
ওই সময় কলম্বোতেই অবস্থান করছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তিনিও প্রবেশ করেন ড্রেসিংরুমে। সেখানেই হয় এক ঘণ্টার গোপন বৈঠক। ধারণা করা হচ্ছে, শান্তর হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো জানতে চান ফাহিম।
ফাহিম পরে বলেন, “এখন আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। শান্তর সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। তবে সত্যি বলতে, আজই সে ঘোষণা দেবে সেটা আমি ভাবিনি। তার নেতৃত্বগুণ দলকে অনেক দিয়েছে। আশা করি ব্যাটার হিসেবে সে দারুণভাবে ফিরে আসবে।”
শান্তর সরে দাঁড়ানোয় এখন সামনে এসেছে নতুন প্রশ্ন—কে হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক? এই প্রশ্নের উত্তর বিসিবির কাছে এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সম্ভাব্য নামের তালিকায় উঠে এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজ।
ফাহিম জানান, “দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে মিরাজের কথা বলা হয়েছিল। ওয়ানডে নেতৃত্ব এখন তার কাঁধে। তবে আমার ধারণা ছিল, শান্তই নিয়মিত নেতৃত্ব দেবে। এখন আমাদের ভাবতে হবে নতুন করে।”
শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার পেছনে শুধু পারফরম্যান্স নয়, থাকতে পারে ভেতরের চাপা ক্ষোভও। শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই তাকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়—যার খবর তাকে দেওয়া হয়নি আগেভাগেই। সফর-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানার পর থেকেই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। গল টেস্টের ভালো পারফরম্যান্সে তা চাপা পড়লেও, কলম্বো টেস্ট শুরুর আগে আবার প্রশ্ন ওঠে নেতৃত্ব নিয়ে।
ফাহিম যোগ করেন, “আমাদের পারফরম্যান্স অধারাবাহিক। মাঝে মাঝে ভালো খেলি, বেশিরভাগ সময়ই প্রত্যাশার চেয়ে কম। আমি ভেবেছিলাম, শান্তর মতো একজন ব্যাটার হয়তো ধীরে ধীরে নেতৃত্বে পরিণত হবে। কিন্তু হয়তো সময়, সিদ্ধান্ত কিংবা চাপ—সব মিলিয়ে এখনই তার থামার সময় হয়েছে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ