শিরোনাম
রাজবাড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৫৪, ২ জুলাই ২০২৫
মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ও সহিংসতার রক্তাক্ত থাবায় কাঁপছে পদ্মা পাড়ের রাজবাড়ী জেলা। মাদক ও খুনের ঘটনায় এলাকাবাসীর জীবন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী। এরই প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সরদার রাজিব নামে এক তরুণ সাংবাদিক।
জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল সবখানেই মাদকের দৌরাত্ম্য। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ এই নেশায়। বিশেষ করে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি মাদকের অন্যতম উৎস হিসেবে চিহ্নিত। এখান থেকে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে চরাঞ্চল ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মাদকের পাশাপাশি বেড়েছে খুনোখুনি, প্রতিহিংসা ও আধিপত্য বিস্তারের সহিংসতা।
২০২৪ সালের জুন মাসেই রাজবাড়ীতে অন্তত ৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা হলো-১১ জুন কালুখালীতে অটোরিকশাচালক আসলাম খুন, ২০ জুন বালিয়াকান্দিতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী মনিরা খুন, ২২ জুন দৌলতদিয়ায় মাদক সংক্রান্ত বিরোধে নজরুল নিহত, ২৪ জুন যৌনকর্মী তানিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা ও ২৫ জুন নিখোঁজের পর দাদশী থেকে যুবক আদরের লাশ উদ্ধার।
এছাড়াও প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় উঠে আসছে মাদক-সংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তারের খবর। গোয়ালন্দ, খানখানাপুর, পাংশা, বালিয়াকান্দি সবখানেই হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হচ্ছে ব্যক্তি, কিন্তু মূল গডফাদাররা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই বাস্তবতায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়সারা অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিক সরদার রাজিব। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে কর্মরত।
রাজিব বলেন, আমার প্রিয় জেলা রাজবাড়ী মাদকের ভয়াল ছোবলে ধ্বংসের পথে। তরুণ প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে, খুন ও সন্ত্রাস যেন প্রতিদিনকার ঘটনা। অথচ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে নেই এই সংকট। বড় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এখানে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গোয়ালন্দ, কালুখালী, বালিয়াকান্দি, সদর—সবখানে খুন, সন্ত্রাস, ইজারা নিয়ে দাঙ্গা, চরমপন্থীদের দৌরাত্ম্য চলছে। অনেক হত্যার প্রকৃত কারণই জনসাধারণ জানে না।
ডিএক্স/এসকে