শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২৭, ২ জুলাই ২০২৫
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিয়া গোপের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা থাকলেও দীর্ঘ সময়েও তা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে নারায়ণগঞ্জে রাস্তায় নামে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র মিছিল চাষাঢ়া থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে তাণ্ডব চালায়। অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় গুলি ও হামলা চালানো হয়।
ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে, শামীম ওসমান ও তার ছেলে ইমতিনান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, অয়ন-এর শ্বশুর ফয়েজউদ্দিন লাভলু, লাভলুর ছেলে ভিকি, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম, ছাত্রলীগের রিয়াদ, রাফেল, কাওসার, শুভ্র সহ একাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, তাদের হাতে ছিল সেমি-অটোমেটিক অস্ত্র, ধারাল রামদা ও চায়নিজ কুড়াল। একই সময়ে পুলিশও টিয়ার গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।
সেদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়কের নয়ামাটি এলাকায় চারতলা ভবনের ছাদে খেলছিল ৬ বছর বয়সী রিয়া গোপ। রাস্তায় গোলাগুলি শুরু হলে মেয়েকে আনতে ছাদে যান বাবা দীপক কুমার গোপ। ঠিক তখনই একটি গুলি এসে লাগে রিয়ার মাথায়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
১১ মাস পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় কাউকে নাম প্রকাশ করে আসামি করা হয়নি, বরং অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ মানবাধিকারকর্মী ও আন্দোলনকারীরা বলছেন, যারা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে, ভিডিও ও ছবি আছে তাদের নাম বাদ দিয়ে পুলিশ এখন প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করছে। তাদের অভিযোগ, শামীম ওসমান ও তার ঘনিষ্ঠজনদের রক্ষার জন্যই মামলাটি এইভাবে সাজানো হয়েছে।
ডিএক্স/এসকে