শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৪৮, ২৯ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ, এবং বর্তমানে এই শ্রেণির মধ্যে ই-সিগারেট বা ভেপিংয়ের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। তামাক কোম্পানিগুলো ই-সিগারেটকে সিগারেটের কম ক্ষতিকর বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করে তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ এফসিএমএ স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনায় ই-সিগারেটসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্র ও পণ্যের কোনো কারখানা স্থাপনে অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার আওতায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যানদের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই ইলেকট্রনিক সিগারেটকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, হংকংসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ ই-সিগারেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং আরো ৫৬টি দেশ এর আমদানি ও বিক্রয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সকল পণ্য নিষিদ্ধ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ ছাড়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিভিল আপিল নং ২০৪-২০৫/২০০১ অনুযায়ী দেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার নির্দেশনা রয়েছে। এই রায়ে নতুন কোনো তামাক কোম্পানি অনুমোদন না দেওয়ার নির্দেশও অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও অন্যান্য তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহ দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ই-সিগারেটের আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকার এবার সেই দাবি বাস্তবায়নের পথে আরো একধাপ অগ্রসর হলো।
বাটা মনে করে, সরকারের এই নীতিগত সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একই সঙ্গে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে