শিরোনাম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:১৬, ২৭ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য— ‘হেপাটাইটিস : লেটস্ ব্রেক ইট ডাউন’, যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
বাংলাদেশে লিভার রোগের প্রকোপ দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, লিভারজনিত রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অজ্ঞতা, সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়া এবং বিদ্যমান নানা কুসংস্কারের কারণে এই পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৪.৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিবছর বহু মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওরের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে আশার কথা হলো—সচেতনতা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এসব প্রাণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সরকার ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও বিস্তারে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদানের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগ চালু করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের একার প্রচেষ্টায় যথেষ্ট নয়—এতে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য।
নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে তিনি দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।
সূত্র: বাসস
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে