শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৪৫, ২১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫০, ২১ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
রবিবার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার অন্যান্য জায়গায় জাতিসংঘের দেওয়া ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় আরো ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। উত্তর গাজায় হতাহতদের গাজার শিফা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছিল তারা। এতেই প্রাণহানি ঘটেছে। তারা নিহতের সংখ্যার দাবি নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছে। এরআগে শনিবার দখলদার সেনার গুলিতে অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, তাদের ২৫টি ট্রাকের একটি বহর ইসরায়েল থেকে প্রবেশ করে এবং চেকপয়েন্ট পার হওয়ার পরপরই ‘ক্ষুধার্ত বেসামরিক মানুষের বিশাল ভিড়ের মুখে পড়ে, যারা পরে গুলিবর্ষণের শিকার হয়।’
জাতিসংঘ বলেছে, গাজার সাধারণ মানুষ ক্ষুধায় ভুগছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে মৌলিক পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।
গাজার বাজারগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই, আর খাদ্যদ্রব্যের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে ২৩ লাখ মানুষের পক্ষে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান ইয়ান এগেল্যান্ড বলেন, গত ১৪২ দিনে আমরা একটি ট্রাকও গাজায় প্রবেশ করাতে পারিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে নেতা বলছেন সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক হচ্ছে, তা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না।
এ ছাড়া জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, তারা পুরো গাজার জন্য যথেষ্ট খাদ্য মজুত রেখেছে মিসরের সীমান্তে, কিন্তু ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেগুলো প্রবেশ করতে পারছে না। সংস্থাটি বলছে, সীমান্ত খুলুন, অবরোধ তুলে নিন এবং আমাদের কাজ করতে দিন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ